Thursday, October 4, 2007

লিরিক ৩

পাখির মত দূর অজানা

২০০৭-০৯-৩০ ১৪:০২:০৭

কোথাও যেন হারিয়ে
যাবার ডাক শুনি,
আকাশ নীলে দুপুর ঝুলে
দিচ্ছে উদাস জাল বুনি।
মাঠের পরে মাঠ চলে যায়
নীল সবুজের টানে,
হঠাত দুপুর থমকে দাঁড়ায়
ধান শালিকের গাণে।
ডুমুর ডালে শীতল ছায়া
ব্যকুল পাখি টুনটুনি।
একলা তখন বটের তলায়
স্বপ্ন বোনে মন,
বুকের খাঁচায় সাদা সাদা
মেঘের আলোড়ন।
রক্ত চুঁড়ার ডালেডালে
দোয়েল কোয়েল ডাকে।
কে যেন কয় চল চলে যাই
অন্য কোন বাঁকে।
পাখির মত দূর অজানা
পালিয়ে যাবার কাল গুনি।


------ কার গাওয়া, কার লেখা জানিনা।
আমার অসম্ভব ভাল লাগল , তাই লিরিক:৩ আসল।

লিরিক ২

ওরে নিশী-গন্ধা (এটি পিচ্চিদের গাণ)

২০০৭-০৯-২৮ ০৪:৪১:২০


ওরে নিশী-গন্ধা
এই মধু মন্দা
সুরভী কোথায় পেলি বল?
ওরে সূর্যমুখী
কেন রইলি ঝুঁকি,
কোন সে ব্যথায় আঁখি ছলোছল?

ওরে শিউলী বেলী
মধু পাঁপড়ী মেলি,
ওরে জুঁই চামেলী,
বল কোথায় পেলি ?
কোথা পেলী এই ঘ্রাণ টলোমল?

ওরে শাপলা সাদা,
ওরে হাসির ধাঁধা,
কেন এত হেসে যাস তুই?
হাসি ভরা মুখ তুই কেথা পেলি বল?

ওই যাদুর চোখে
ফোঁটে তারার মেলা,
মিটিমিটি মিটি,
মিটি মায়ার খেলা,
নীলাকাশ ভরে কেন বল?


- গাণটি পিচ্চিদের হলেও কথা গুলো খুব ভালো লাগে.......

তাই তুলে দিলাম.........

লিরিক:১

আমার যখন ফুরাবে দিন -- আসবে গহীন রাতি,

২০০৭-০৯-২৩ ১৪:৪৯:২০


আমার যখন ফুরাবে দিন
আসবে গহীন রাতি,
থেকো প্রভূ এ জীবনে
হয়ে চির সাথী।

জীবন নদীর দু কূল জুড়ে
আসলে অমানিসা,
থাকবেনা আর দু চোখে হায়
একটু আলো দিশা,

সেদিন আমার আঁধার গোরে
তুমি থেকো বাতি।

আমার আমার বলে যখন
কাউকে পাবো না,
সেদিন আমার শূণ্য হিয়ায়
তুমি থেকো স্বান্তনা।

আঁখির আলো নিভবে যেদিন
মনে আলো দিয়ে,
আসবে না কেউ অন্ধ চোখে
একটু আলো নিয়ে,

সেদিন আমার অন্ধ চোখে
তুমি আলোর জ্যোতি।




--------------- গাণটি আমার প্রচন্ড প্রিয়।
তাই তুলে দিলাম লিরিক।

ভাল থাকুন সবাই.......

ছন্দ গদ্য

ছন্দ গদ্য- ওরা আমরা ভিন্ন

২০০৭-০৯-১৮ ১৯:১২:৪৭


ভাই টি আমার, কেন্ বারবার
চাস যে খেতে মণ্ডা মিঠাই?
জানিসনা তোর গরিব বাবার
এর বেশী আর সাধ্য যে নাই?

ওদের দিকে তাকাসনে আর,
ওরা বড়লোকের ছেলে.........
ঝলসে গেলে দুচোখ আলোয়
থাকবি বুজে দু:খ ছলে।

আসিলাম

আসিলাম

২০০৭-০৮-১১ ০২:২৯:০৮

আসিলাম আমি,

আকাশ ছোব বলে।

ওবাক বিস্ময়ে তাকালাম

সুরযের কোলাহলে-

দেখিনু আকাশ, বহদূর বহুদূর......।

শৈশব-1

তোমার চোখের আঙ্গিনায় এখনো কি তেমনি করে..........
২রা অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৪০
তোমার চোখের আঙ্গিনায় এখনো কি তেমনি করে
জোছনা ছড়ায় আলো.......
গাণ টি কার জানা হল না। কিন্তু কেন জানি মন খারাপ হয়ে গেল।

মনে পড়ে গেল সেই দুরন্ত শৈশব, স্বাধীন জীবন।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠা। বাবার সাথে নাস্তা করা।.....
বেলা হতেই বাড়ীর পেছনে পাহাড়ী জংগলে হারীয়ে যাওয়া। বুনো ফল কুড়ানো। হাজার রকম পাখিদেখা। 'দেখি কে এক ছুটে পাহাড়ের চুড়োয় ইঠতে পারে!!"
ফিরে এসেই পুকুরে ঝাঁপ, নানা রকম কসরতে সাঁতরানো।
দাদা মজিদ থেকে বেরিয়েই একটি বেত নিয়ে সবাইকে তাড়িয়ে নিতেন বাড়ীর দিকে।
পাটির 'ছিনি' তে বসে ভাত খাওয়া।তারপর মা বলতেন একটু জিরিয়ে নে। হয়তো মাকে দেখানোর জন্য মিনিট পাঁচেক গড়িয়ে নেয়া। তারপর সুযোগ বুঝে দে ছুট।
মামুনদের বাড়ীতে আজ ছেলে হয়েছে তার আকিকা দেখতে হবেনা!

বিকেলে মজা আনলিমিটেড। কর্ণফুলীর তীর জুড়ে মার্বেল, ডাঙ্গুলী, গোল্লাছূট। নদীর ঢেউ গোনা।
তার পর ধানের ক্ষেতের মধ্য দিয়ে একছুটে বাড়ী।
সন্ধ্যা হতেই দাদী এসে বলতেন 'মুখ হাত ধোও'।
বাড়ীর দাওয়ায় বসে আছি সবাই। দাদী কিছুক্ষন পরই আসলেন। তারপর চলল কেচ্ছার আসর। একটি শেষ হলেই সবাই মিলে বলতাম দাদীর আঁচল ধরে-"আরেকটা বলোনা.....আরেকটা"
-না আজ আর সময় নেই। ওই শোন্ এশার আজান পড়ছে।
দাদীর সাথে আমরাও উঠে যেতাম। তার বাল্যশিক্ষা নিয়ে কিছুক্ষন দুশ্টুমি। ছোটবোনের সাথে ঝগড়া। বাবা ফিরেই দেখে ফেললেন। কানমলা।....
তারপর বাবার সাথে ভাত খাওয়া। "খুব ঘুম পাচ্ছে মা, আর খাবনা"।
-" হ্যা। সবজী দেখলেই আর খাবনা, আর একটু ...."

তার পর একছুটে পাটির বিছানায়।
আর! আমি শুয়ে পড়লাম যে। কাল না শফিক কে মার্বেলদিতে হবে দশটা। আলাদা করে রাখি গিয়ে। এক লাফে উঠলাম.....
-"কিরে ! উঠলি কেন?"
-"মা! এই এখুনি শুচ্ছি আবার।"
আমার মার্বেলের পটটা যে কোথায় রাখল নাজু-(ছোট বোন) কাল একটা মার দিতে হবে......
অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। হারিকেনটা আর একটু শানিয়ে দেই......
-"বাবু ?"
-জী
-কি করছিস।
-দেখতো একটা পোস্ট লিখছিলাম, হঠাৎ করে নেট চলে গেল, ধ্যাৎ।