Thursday, October 4, 2007

শৈশব-1

তোমার চোখের আঙ্গিনায় এখনো কি তেমনি করে..........
২রা অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৪০
তোমার চোখের আঙ্গিনায় এখনো কি তেমনি করে
জোছনা ছড়ায় আলো.......
গাণ টি কার জানা হল না। কিন্তু কেন জানি মন খারাপ হয়ে গেল।

মনে পড়ে গেল সেই দুরন্ত শৈশব, স্বাধীন জীবন।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠা। বাবার সাথে নাস্তা করা।.....
বেলা হতেই বাড়ীর পেছনে পাহাড়ী জংগলে হারীয়ে যাওয়া। বুনো ফল কুড়ানো। হাজার রকম পাখিদেখা। 'দেখি কে এক ছুটে পাহাড়ের চুড়োয় ইঠতে পারে!!"
ফিরে এসেই পুকুরে ঝাঁপ, নানা রকম কসরতে সাঁতরানো।
দাদা মজিদ থেকে বেরিয়েই একটি বেত নিয়ে সবাইকে তাড়িয়ে নিতেন বাড়ীর দিকে।
পাটির 'ছিনি' তে বসে ভাত খাওয়া।তারপর মা বলতেন একটু জিরিয়ে নে। হয়তো মাকে দেখানোর জন্য মিনিট পাঁচেক গড়িয়ে নেয়া। তারপর সুযোগ বুঝে দে ছুট।
মামুনদের বাড়ীতে আজ ছেলে হয়েছে তার আকিকা দেখতে হবেনা!

বিকেলে মজা আনলিমিটেড। কর্ণফুলীর তীর জুড়ে মার্বেল, ডাঙ্গুলী, গোল্লাছূট। নদীর ঢেউ গোনা।
তার পর ধানের ক্ষেতের মধ্য দিয়ে একছুটে বাড়ী।
সন্ধ্যা হতেই দাদী এসে বলতেন 'মুখ হাত ধোও'।
বাড়ীর দাওয়ায় বসে আছি সবাই। দাদী কিছুক্ষন পরই আসলেন। তারপর চলল কেচ্ছার আসর। একটি শেষ হলেই সবাই মিলে বলতাম দাদীর আঁচল ধরে-"আরেকটা বলোনা.....আরেকটা"
-না আজ আর সময় নেই। ওই শোন্ এশার আজান পড়ছে।
দাদীর সাথে আমরাও উঠে যেতাম। তার বাল্যশিক্ষা নিয়ে কিছুক্ষন দুশ্টুমি। ছোটবোনের সাথে ঝগড়া। বাবা ফিরেই দেখে ফেললেন। কানমলা।....
তারপর বাবার সাথে ভাত খাওয়া। "খুব ঘুম পাচ্ছে মা, আর খাবনা"।
-" হ্যা। সবজী দেখলেই আর খাবনা, আর একটু ...."

তার পর একছুটে পাটির বিছানায়।
আর! আমি শুয়ে পড়লাম যে। কাল না শফিক কে মার্বেলদিতে হবে দশটা। আলাদা করে রাখি গিয়ে। এক লাফে উঠলাম.....
-"কিরে ! উঠলি কেন?"
-"মা! এই এখুনি শুচ্ছি আবার।"
আমার মার্বেলের পটটা যে কোথায় রাখল নাজু-(ছোট বোন) কাল একটা মার দিতে হবে......
অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। হারিকেনটা আর একটু শানিয়ে দেই......
-"বাবু ?"
-জী
-কি করছিস।
-দেখতো একটা পোস্ট লিখছিলাম, হঠাৎ করে নেট চলে গেল, ধ্যাৎ।

No comments: